এই পদ্ধুতিটা আপনার চারপাশের মানুষের ব্যপারে একটা ধারণা দেবে। আপনি
যেহেতু তাদের বৈশিশ্ঠ্যের ব্যপারে জানবেন ,তাই তাদের সাথে কিভাবে কথা বলবেন
বা তাদের কিভাবে ম্যানেজ করবেন তা কিছুটা হলেও আয়ত্ব করতে পারবেন ।
প্রখ্যাত সাইকোলজিষ্ট উইলিয়াম মার্সটন মানুষের আচরণকে ৪ ভাগে ভাগ করেছেন। প্রতিটি মানুষের মধ্যেই এই চারটি প্রতিটিরই কিছুনা কিছু থাকবে, কিন্তু কোন একটার প্রভাব তার মধ্যে একটু বেশি পরিমানে থাকবে। আর এটা তার আচরণের মধ্যে বেশি দেখা যাবে।
আচরণের এই চারটি শ্রেনীবিভাগকে ইংরেজীতে বলা হয় DISC ।
প্রখ্যাত সাইকোলজিষ্ট উইলিয়াম মার্সটন মানুষের আচরণকে ৪ ভাগে ভাগ করেছেন। প্রতিটি মানুষের মধ্যেই এই চারটি প্রতিটিরই কিছুনা কিছু থাকবে, কিন্তু কোন একটার প্রভাব তার মধ্যে একটু বেশি পরিমানে থাকবে। আর এটা তার আচরণের মধ্যে বেশি দেখা যাবে।
আচরণের এই চারটি শ্রেনীবিভাগকে ইংরেজীতে বলা হয় DISC ।
নিচে শ্রেণীবিভাগটি দেয়া হলঃ
১। D-Dominance (আধিপত্যবাদী): এদের সাধারণত গুনাবলী হল এরা কথা শুনার
চাইতে বলে বেশি ও বহিঃর্মুখী স্বভাবের হয়। লক্ষে পৌছতে চারদিকে ভ্রুক্ষেপ
থাকেনা। কথা বলে খুব দ্রুত, তাদের মাঝে একটা অস্থির ভাব থাকে, যা করতে চায়
তা করে ফেলে এর জন্য খুব একটা চিন্তা করেণা। চিন্তা ভাবনা কম করে বলে
নিজেদের উপর তাদের নিয়ন্ত্রনের একটা ভয় থাকে ।
২। I-Influence
(প্রভাবকারী): এরা মানুষ কেন্দ্রীক হয়ে থাকে । চারপাশের মানুষদের ব্যপারে
বিশেষ কৌতুহল থাকে। তারা নিজেদের আবেগ ও অনুভুতিগুলোকে প্রকাশ করে ফেলে।
এদের কথা বলার সময় অঙ্গভঙ্গী প্রকাশ পায়। এরা মিশুক হয় ও সামাজিকতা রক্ষা
করতে এরা খুব উত্সাহী। ফ্যাশান করা টিপটপ চলা এদের খুব পছন্দের । তারা
যেমন আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটায় তেমনি অতি আবেগের কারণে অন্যের দ্বারা খুব
সহজেই আঘাত প্রাপ্ত হন। চারপাশের অনেক কিছুতে জড়িয়ে পড়ার কারণে মূল কাজের
লক্ষ থেকে ছিটকে পড়ার একধরণের প্রবনতা তাদের মধ্যে দেখা যায় ।
৩।
S-Steadiness (সহযোগী মনোভাবাসম্পন্ন): এরা খুব কম কথা বলে। তবে দরকারের
সময় এরা সহজেই কথা চালিয়ে নিতে পারে। এরা ধীরস্থীর ও শান্ত প্রকৃতির হয়।
কেউ এদের সামনে প্রশংসা করলে এরা সংকোচ অনুভব করে । এদের সবকিছু মানিয়ে
চলার একটা প্রবনতা থাকে, ফলে এরা একসময় কাজের ভারে নিজেদের নিমজ্জিত হয়ে
যেতে পারে। এরা সবার পছন্দের পাত্র হয়ে থাকে, কেননা এদের দ্বারা সবাই কাজ
করিয়ে নিতে পারে।
৪। C-Conscientiousness (সতর্কতা বজায়কারী): এরা
সবচেয়ে কম কথা বলার মানুষ, আর কথা যাই বলুক তা খুব ধীর গতিতে ও মৃদুভাবে
বলে। তারা সবকিছু পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে পেতে চায়, আর সেই লক্ষে এদের সবসময়
চিন্তাশীল থাকতে দেখা যায়। প্রতিক্রিয়ার ব্যপারে এরা ঠিক D এর উল্টো। কোন
একটা ব্যপারে খুব নির্দিষ্টভাবে জেনে তবে পা ফেলে। এদের সময়জ্ঞান খুব ভাল
কথা বলে কুটনৈতিক উপায়ে।
0 Comments