আপেক্ষিকতা বা গাঁজাখুরি বিষয়বস্তু

আপেক্ষিকতাকে গাঁজাখুরি বলার পিছনে একটা কারন আছে।
মনে করুন , আপনার আগামিকাল গনিত পরীক্ষা সকাল ১০ টায় । আগের দিন রাতে আপনি ফেইসবুক গ্রুপে গনিতে সমস্যা গুলো দিয়েছেন আর সেগুলার উত্তর পাওয়ার পর খুব ভালো ভাবেই বুঝেছেন। কিন্তু বুঝতে বুঝতে রাত ৩ টার দিকে ঘুম দিলেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলেন বাজে ৯ টা। এখন কি করবেন , খুব দ্রুত সবকিছু নিয়ে দিলেন এক দৌড়।
এইক্ষেত্রে ধরে নিলাম সেই মুহুর্তে আপনি সুপার ম্যান হয়ে গিয়েছিলেন তাই আপনার দৌড়ের বেগ প্রায় আলোর বেগের কাছাকাছি ছিল। এত দ্রুত বেগ নিয়ে আপনি যখন আপনার কলেজে পৌছলেন দেখলেন কলেজের মাঠে বন্ধুরা বসে আড্ডা মারছে। আপনি তাদের গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন , “ কিরে পরীক্ষা বাতিল হয়ে গেল নাকি ??”
তারা আপনার দিকে হাবলার মত তাকিয়ে বলল, “ গাজা খেয়েছিস ? পরীক্ষা তো ৭ ঘন্টা আগেই শেষ।”
আপনি বন্ধুর ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলেন ৪ টা বাজে। ক্যামনে কি ????
হ্যা ভাই , আইস্টাইন মহাশয় এটাকেই বলে গিয়েছেন , “ রিলেটিভিটি বা আপেক্ষিকতা ”। তিনি মসকরা করে আরও বলেছেন , “ তুমি যদি একজন সুন্দর রমনীর পাশে বসে থাকো তাহলে দেখবে সময় দ্রুত চলে যাচ্ছে আর যদি গরমের দিনে আগুনের পাশে বসে থাকো তাহলে দেখবে সময় যেন যেতেই চাইছে না , এটাই হল আপেক্ষিকতা।”
এবার যাই মূল আপেক্ষিকতার দিকে। তার আগে বলে নেই ভবিষ্যতে যাওয়া মানে কি । ভবিষ্যতে যাওয়া মানে হচ্ছে , তুমার বয়স অন্যদের তুলনায় কম হওয়া। এছাড়া আর কিছুই না ।
এবার এই আপেক্ষিকতা হচ্ছে তিন ধরনের।
১. সময়ের আপেক্ষিতাঃ
মানে তুমি দ্রুত দৌড়াও তাহলে সময় তুমার জন্য ধির গতির হয়ে যাবে।
একটা ঊদাহরন হচ্ছে ,
মনে করুন আপনি আর আপনার বন্ধু ২০১৩ সালে ১৭ বছর বয়স ।
এবার আপনি রকেটে করে ২০১৩ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ০.৯৯C বেগে চলছেন মানে আপনি আপনার বন্ধুর ৭ গুন বেশি বেগে যাচ্ছেন । যখন ২০১৪ সালে আপনি পৃথিবীতে নামলেন তখন আপনার বয়স বাড়লো ১ বছর কিন্তু পৃথিবীতে এসে দেখবেন তখন ২০১৩+৭=২০২০ হয়ে গেছে । মানে আপনার বয়স হল ১৮ বছর কিন্তু আপনার বন্ধুর বয়স হল ২৪ বছর .........
এটাই সময়ের আপেক্ষিকতা । ।।
সূত্রঃ এবার যদি ,
T = আপনার বন্ধুর সময় মানে স্থির বস্তুর সময় হয়
To = আপনার সময় মানে গতিশীল বস্তুর সময় হয়
v= আপনার বেগ হয়
c = আলোর বেগ হয়
তাহলে আপনার বন্ধুর অতিক্রান্ত সময় মানে স্থির বস্তুর অতিক্রান্ত সময় ,
T = To / root over ( 1 – v^2/c^2)
এইখানে বেগের মান বসালে দেখতে পারবে T এর জন্য To কত গুন হবে । মানে তুমার বেগ যত বেশি হবে তুমার বন্ধুর সাপেক্ষে তুমার সময় কতগুন কম হবে তা বের করতে পারবে ।।।
২. ভরের আপেক্ষিকতাঃ
একই রকম ভরের আপেক্ষিকতা হচ্ছে , তুমার বেগ যত বাড়বে তুমার ভরও তত বাড়তে থাকবে ।
যদি , স্থির অবস্থায় তুমার ভর = Mo হয়
গতিশীল অবস্থায় ভর = M হয়
তুমার বেগ = V
আলোর বেগ = C
হয় তাহলে তুমার গতিশীল ভর , M = Mo / root over (1- v^2/c^2) হবে । মানে , তুমার বেগ এর জন্য গতিশীল ভর স্থিতীশিল ভর অপেক্ষা কতগুন বেশি হবে তা নির্ধারন করার সূত্র ।
৩.দৈর্ঘ্য আপেক্ষিকতাঃ
এইটা সামান্য ভিন্য। অন্য কোনদিন এইটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আপাতত সূত্র জানলেই চলবে ।
স্থির অবস্থায় দৈর্ঘ্য = Lo
গতিশীল দৈর্ঘ্য = L
তুমার বেগ = v
আলোর বেগ = C
গতিশীল অবস্থার দৈর্ঘ্য , L = Lo x root over( 1- v^2/c^2)

Post a Comment

0 Comments