মাত্রা ও স্পেস - টাইম

মাত্রা :
মাত্রা হল কোন বিন্দুর অবস্থান সুনির্দিষ্টভাবে প্রকাশ করতে সর্বোচ্চ যতটি স্থানাংকের প্রয়োজন তার সংখ্যা । ১টা n মাত্রিক বস্তু বলতে বোঝায় ঐ বস্তুর কোন বিন্দুকে মূলবিন্দু ধরে বস্তুটার অন্য বিন্দুগুলার অবস্থান নির্দিষ্ট করতে সর্বোচ্চ n টা স্থানাংক দরকার ।
যেমন আমাদের পরিচিত স্থানে কোন বিন্দুকে নির্দিষ্ট করতে আমরা বলি , x একক ডানে, y একক সামনে ও z একক ওপর দিকে গেলে বিন্দুটা পাওয়া যাবে, তাই এর স্থানাংক (x,y,z) এবং তাই এ স্থানে মাত্রাও ৩টা ।
স্পেস - টাইম :
ধরেন ১টা জোঁনাকি ঘুটঘুটে আঁধারে উড়ছে । হঠাৎ জ্বলে উঠে এটা পরমুহূর্তেই নিভে গেল । তখন আপনি দেখলেন আপনার পায়ের পাতার সাপেক্ষে ।
x একক ডানে , y একক সামনে ও z একক ওপরে ।
যদি একটু পর বলি জোনাকটা এখন কোথায় , আর আপনি বলেন " এটা (x,y,z) অবস্থানে আছে আমার পায়ের পাতার সাপেক্ষে " তবে তা সঠিক হবেনা কেননা ততক্ষণে সেটা আরো কিছুদূর উড়ে গিয়ে থাকতে পারে ।
তাই নিখুঁতভাবে বলতে হলে আমাদের বলতে হবে যে জোনাকটা t সময়ে (x,y,z) অবস্থানে আছে, বা এর স্থানাংক (x,y,z,t) । অর্থাৎ নিখুঁতভাবে কোন বিন্দুকে নির্দিষ্ট করতে স্পেসের ৩টা আর টাইমের ১টা স্থানাংক অপরিহার্য ।তাই সময় হল ৪র্থ মাত্রা ।
আর Special relativity দেখায় যে এরা এতটাই আন্তঃসম্পর্কিত যে এরা প্রকৃতিতে বিচ্ছিন্নভাবে বিরাজ করেনা , থাকে মিলেমিশে ১টা সত্তা হিসেবে । আর একেই বলে স্পেস-টাইম ।

Post a Comment

0 Comments